লামা সংবাদদাতা :: বান্দরবানের লামায় ৪র্থ শ্রেণির এক ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। আটককৃত যুবকের নাম নুরুল ইসলাম নুরু (২৮)।আজ মঙ্গলবার ভোরে উপজেলার আজিজনগর ইউনিয়নের ধুইল্যা পাড়া থেকে তাকে আটক করানুরুল ইসলাম নুরু উপজেলার আজিজনগর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ধূইল্যা পাড়ার বাসিন্দা মুকবুল মিয়া প্রকাশ সুবইল্লার ছেলে।
ভিকটিমের চাচা বলেন, ধর্ষক তার নিকটাত্মীয় হওয়ায় ধর্ষণের ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে স্থানীয় ইউপি মেম্বার হারেচ মিয়া উঠেপড়ে লেগেছিলেন। শিশু নির্যাতনের মত জঘন্য ঘটনাটি ধর্ষক থেকে টাকা নিয়ে গ্রাম্য সালিশের মাধ্যমে সমাধান করতে গতকাল সোমবার (২৯ জুন) সন্ধ্যায় ডিগ্রি খোলা বাজারে সালিশি বৈঠকের আয়োজন করে।
এদিকে, ধর্ষণের ঘটনা নিয়ে লেখালেখি হলে বিষয়টি জানতে পেরে লামা থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে ধর্ষক নুরুল ইসলাম নুরুকে আটক করে।
ভিকটিমের বাবা জানায়, গত বৃহস্পতিবার (২৫ জুন) বিকাল ৪টায় বাড়ির পাশের নুরুল ইসলাম নুরু তার মেয়েকে তার বাড়িতে ডেকে নিয়ে যায়। নুরুল ইসলামের স্ত্রী বাবার বাড়িতে বেড়াতে গেলে বাড়ি ফাঁকা থাকে। এই সুযোগে সে ৯ বছরের ছোট শিশুটিকে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করে। পাশের বাড়ির আরেক মহিলা নুরু মেয়েটিকে ডেকে নিয়ে যাওয়ার সময় খেয়াল করে। সেই মহিলা বিষয়টি জানালে পরে লোকজন গিয়ে হাতেনাতে বিবস্ত্র অবস্থায় দেখতে পায়। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও গ্রাম্য বিচারকরা সামাজিকভাবে বিষয়টি সমাধান করে দেবে বলে আমাকে আইনের কাছে যেতে দেয়নি।
ইউপি মেম্বার হারেচ মিয়া বলেন, আমি বিষয়টি গত রবিবার (২৮ জুন) সকালে জানতে পারি। সাথে সাথে ঘটনাটি আজিজনগর ইউপি চেয়ারম্যানকে অবহিত করি। আজ সন্ধ্যায় ধর্ষণের ঘটনাটি সমাধানের কথা ছিল।
লামা থানা ওসি মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, শিশু ধর্ষণ ঘটনাটি স্পর্শকাতর। বিষয়টি জানার সাথে সাথে অভিযান চালিয়ে সোমবার (২৯ জুন) রাত ৮টায় অভিযুক্ত ধর্ষককে আটক করা হয়। ভিকটিম ও তার বাবাকে আনা হয়েছে। এই ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
পাঠকের মতামত: